১৯৯৮ সালে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (আরপিজিসিএল) কর্তৃক সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় দৈনিক ৫৬০ ব্যারেল উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কৈলাশটিলা এলপিজি প্লান্ট (ইউনিট-১) নির্মিত হয় এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালে আরপিজিসিএল কর্তৃক একই অবস্থানে দৈনিক ১১০০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এনজিএল প্লান্ট ও দৈনিক ৯৫০ ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্লান্ট নির্মিত হয় (ইউনিট-২)। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে গত ৩০-০৫-২০২৪ তারিখ কৈলাশটিলা এলপিজি প্লান্ট (ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরিত হওয়ার পর গত ০২-৬-২০২৪ তারিখ থেকে এসজিএফএল-এর পরিচালনায় কৈলাশটিলা এলপিজি প্লান্টের ইউনিট-২ এর এনজিএল প্লান্ট নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলছে। কৈলাশটিলা এমএসটিই প্লান্ট হতে প্রাপ্ত দৈনিক কম-বেশি ৩৭০ ব্যারেল এনজিএল এ প্লান্টের মাধ্যমে ফ্র্যাকশনেশন করে দৈনিক কম-বেশি ১৫০ ব্যারেল “এলপিজি” (১২.৫ কেজি ধারন ক্ষমতার ১০০০টি সিলিন্ডার) ও কম-বেশি ২২০ ব্যারেল ‘‘সুপার লাইট কনডেনসেট” উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত “এলপিজি” সিলিন্ডারজাত করে মার্কেটিং এর জন্য নিকটস্থ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর কৈলাশটিলা এলপি গ্যাস প্লান্টে সরবরাহ করা হয়। উৎপাদিত ‘‘সুপার লাইট কনডেনসেট” এসজিএফএল-এর রশিদপুর ৪০০০ বিপিডি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্লান্টে উৎপাদিত লাইট ন্যাফথা ও রিফরমেটের সাথে ব্লেন্ডিং করে মানসম্মত মটর স্পিরিট (RON 89) প্রস্তুত করে বিপিসি-এর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়।