১৯৫৫ সালে হরিপুরে আবিষ্কৃত দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্রে এযাবৎ মোট ১০টি কূপ খনন করা হয়েছে। সর্বশেষ Schlumberger SEACO Inc. কর্তৃক সম্পাদিত ৩ডি সাইসমিক রিভিউ প্রতিবেদন অনুযায়ী হরিপুর ফিল্ডের প্রাথমিক উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৮৫ বিলিয়ন ঘনফুট। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ফিল্ড হতে উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ ২২৪.৭০৯ বিলিয়ন ঘনফুট যা উত্তোলনযোগ্য মজুদের শতকরা ৫৮.২১ ভাগ।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এ ফিল্ডের উৎপাদনরত ৩টি কূপ হতে গড়ে দৈনিক প্রায় ৫.৪৭ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদিত গ্যাস সিলিকাজেল প্লান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)-এ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া, এ ফিল্ডে গ্যাসের উপজাত হিসেবে গড়ে দৈনিক প্রায় ৩৩.১৪ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়। উক্ত ফিল্ডের উৎপাদিত কনডেনসেট বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ্যাকুয়া রিফাইনারী লিমিটেড-এ সরবরাহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আলোচ্য গ্যাসক্ষেত্রে সিলেট-১০নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ কূপ হতে প্রসেস প্লান্ট পর্যন্ত গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষে এ কূপ হতে দৈনিক কম-বেশী ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। অপরদিকে, জুন ২০২৪ হতে সিলেট-৭নং কূপ ওয়ার্কওভার কাজ চলমান আছে। ওয়ার্কওভার কাজ শেষে এ কূপ হতে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যায়।